VEDERGANJ,SHARIATPUR. EIIN : 113524
লিটল ম্যাগাজিন
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি
রামভদ্রপুর কে.আই আলিম মাদ্রাসা
ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর।
পৃষ্ঠপোষক
জনাব সাব্বির আহমেদ
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর।
প্রচ্ছদ নামকরণ
মুহাম্মদ আঃ সামাদ নুরী
অধ্যক্ষ
সম্পাদানা
মোঃ আলী হোসাইন
সার্বিক তত্ত্বাবধানে
মাওঃ আবুল কালাম আজাদ (উপাধ্যক্ষ)
কাজী মোঃ শাহে আলম,প্রভাষক( আরবি )
এম এ রাজ্জাক, সিনিয়র শিক্ষক( সমাজ বিজ্ঞান )
আব্দুল মান্নান,প্রভাষক(ইতিহাস)
সার্বিক সহযোগীতায়
শরফুদ্দীন,রিদয় মৃধা,ফাতেমা,
সামিয়া,মাহমুদুল হাসান,আবির হোহেন।
আলোকচিত্র
জয়নাল আবেদিন
ফিরোজ আহম্মেদ
প্রকাশনায়
রামভদ্রপুর কে.আই আলিম মাদ্রাসা,
ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর।
E-mail : rvm113524madrasha@gmail.com
Web : 113524.ebmeb.gov.bd
বাণী
বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম,
জীবন আমাদের সংক্ষিপ্ত। মৃত্যু অবধারিত সত্য। আকাঙ্খা আমাদের অনন্ত।যোগান আমাদের সীমিত। তবু কল্যাণকর কিছু করি। বর্তমান বিশ্ব জ্ঞান-বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রগতির যুগ। আজ দেশ জাতি বিজ্ঞানের সহযাত্রী হয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সামনের দিকে অগ্রসর, ঠিক তখনই জনাব সাব্বির আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর এর পৃষ্ঠপোষকতায় রামভদ্রপুর কে.আই আলিম মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীরা “বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি” নামক উত্তাল মার্চ এর ঘটনা বিজড়িত একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করতে যাচ্ছে । তাদের এই উদ্দেশ্যকে আমি স্বাগত জানাই । ম্যাগাজিনে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের কর্মকান্ড ও স্মৃতি মাখানো সকল তথ্য ধারণ করবে। আশা করি ইহা ছাত্র ছাত্রীদের মেধা বিকাশে সহয়তা করবে ।
আমি ম্যাগাজিনের সম্পাদনা পরিষদকে আন্তরিক অভিবাদন ও শুভেচ্ছা জানাই এবং সকল ছাত্র ছাত্রিদের উজ্জ্বল ভবিষত কামনা করছি ।
মাওঃ আব্দুস সামাদ নূরী
অধ্যক্ষ
রামভদ্রপুর কে.আই আলিম মাদ্রাসা।
ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর।
সভাপতির বাণী
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। প্রতিষ্ঠানের কিছু স্মৃতি ও তথ্য ধরে রাখার জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্মৃতি অ্যালবাম “বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি”প্রকাশের মহতী প্রয়াসসকে স্বাগত জানাই। প্রতিষ্ঠানের এই স্মৃতি অম্লান রাখার এই আয়োজন নতুন নয়, তবে এর ধারাবাহিকতা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট সদস্যবৃন্দের মানসিক উৎকর্ষতার উপর। শিক্ষা জিবনের নানান স্মৃতি বিজড়িত এই ম্যগাজিন যেন নিত্যই নতুন,যার কলেবরধারন করে অনিত্য সংবাদ।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিভিন্ন স্মৃতি ধরে রাখার অংশ হিসেবে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। তাদের এ ধরনের সৃজনশীল প্রয়াস প্রসংসার দাবিদার।
ম্যগাজিন প্রকাশের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি রইলো আমার আন্তরিক অভিনিন্দন।
আলহাজ্ব আঃমান্নান বেপারী
সভাপতি
গর্ভানিং বডি
রামভদ্রপুর কে.আই আলিম মাদ্রাসা ও
সাধারন সম্পাদক ভেদরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ভেদরগঞ্জ।
উপাধ্যক্ষের বাণী
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
এসেছে নতুন বছর । বদলে গেছে সময় । হারিয়ে চলছে অতিত । শিক্ষাই জীবনের বিকাশ । আমরা শিক্ষাই প্রভাবিত । জীবনের শুরুতেই শিক্ষা । জীবনের শেষেও শিক্ষা ।বাঁচার জন্য শিক্ষা। দক্ষতার জন্য শিক্ষা। শিক্ষার গুরুত্ব সার্বজনীন । ২০১৯ইং সালের ২৬শে মার্চ উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের “বঙ্গবন্ধু স্মৃতি” নামক ম্যাগাজিন প্রকাশের মহতি প্রয়াসকে স্বাগত জানাই ।
অনাবিল সুন্দর ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় সকলের জন্য রইল আন্তরিক সালাম ও শুভেছা ।
মাওঃ আবুল কালাম
উপাধ্যক্ষ
রামভদ্রপুর কে.আই আলিম মাদ্রাসা।
উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বাণী
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
রামভদ্রপুর কে.আই আলিম মাদ্রাসার সকল ছাত্র ছাত্রীদের “বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি” নামক ম্যাগাজিন প্রকাশের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আশা করি ইহা সকল শিক্ষাথীদের উপকারে আসবে । এটাই আমার একান্ত চাওয়া।
যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এ কাজ সফল হয়েছে তাদের সকলকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং তাদের উজ্জ্বল ও সুন্দর ভবিষ্যত কামনা করছি ।
কাজী মোঃ শাহে আলম
প্রভাষক (আরবী)
রামভদ্রপুর কে.আই আলিম মাদ্রাসা।
সম্পাদকীয়
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
জ্ঞান আমাদের ভূষণ। প্রজ্ঞা ব্যক্তির পরিচায়ক। দক্ষতা ব্যক্তির অহংকার। জ্ঞান-দক্ষতার উৎস পুস্তক। পুস্তকের ক্ষুদ্র প্রয়াস ম্যগাজিন। শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভাকে উজ্জ্বিবিত করার লক্ষ্যে আমাদের এই ছোট্ট আয়োজন। সময়ের সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানের কিছু তথ্য ও স্মৃতি ধরে রাখার জন্য আমাদের প্রকাশিত “বঙ্গবন্ধু স্মৃতি” যেন গাদাঁ ফুলের মতো একই বৃন্তে গাঁথা। “বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি” প্রকাশের জন্য প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মহোদয়, উপদেষ্টামন্ডলী, শিক্ষক মন্ডলী ও ছাত্র/ছাত্রীরা যে কঠোর পরিশ্রম ও সহযোগীতা করেছে সেজন্য প্রত্যেকের প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
ব্যবহারের প্রত্যাশা রইলো। সহযোগিতার পরামর্শ চাই।পড়ার আনন্দ চাই । দোয়া সকলের জন্য । আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াসে ভুলত্রুটিকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহব্বান সবাইকে। আল্লাহ সহায় হউন । আমীন ।
মোঃ আলী হোসাইন
সিনিয়র শিক্ষক
রামভদ্রপুর কে.আই আলিম মাদ্রাসা।
তোমাদের জন্য
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
π=3.14159265358979323846264338327950388419716939937510582097494459230781640628620899862803482534211706798214808651328230664709384460955058……………….
সংখ্যার ইতিহাস মানব সভ্যতার ইতিহাসের মতই প্রাচীন। সংখ্যাই বর্তমান সভ্যতারর হাতিয়ার। সীমার মাঝে অসীমের ধারণা সংখ্যা থেকেই। উপরের দুই পা যুক্ত ছবিটি পাই। পাই আসলে পাওয়া না পাওয়ার কোনো বিষয় নয়। পাই একটি অমূলদ সংখ্যা। পাই এর মান নির্দিষ্ট নয়। বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাতকে পাই বলে। বৃত্ত যত বড় আকারেরই হোক না কেন এর পরিধিকে যদি ব্যাস দিয়ে ভাগ করা যায় তবে পাই এর মান একই হবে। পাই এর মান বলে শেষ করা যাবে না। এর মান bounded নয় unbounded। পাই নিয়ে মানুষের মাতামাতি আজকের নয়। আজ থেকে বহূ বছর পূর্বে গণিতবিদ ল্যামবার্ট ১৭৬৬ সালে প্রমাণ করেন যে পাই একটি অমূলদ সংখ্যা। পাই এর মানে দশমিকের পরে একই সংখ্যা বার বার আসবে না। যদি বলি পাই এর মান কত? সবাই বলে ফেলবে 3.1416…. এই মানটি। পাই এর মান বলার ও লেখার প্রচেষ্টা আজকের নয়। দশমিকের পর পাই এর মান বলতে পেরেছিল চীনের লু-চাও ৬৭৮৯০ ঘর পর্যন্ত। এটা বলতে তার সময় লেগেছিল ২৪ ঘন্টা ৪ মিনিট। পরবর্তীতে, জাপানের আকারা হারগুচি ১ লক্ষ ঘর পর্যন্ত বলতে সক্ষম হয়েছিল। π এর মান আবিষ্কারের পেছনে গণিতবিদদের শ্রম থেমে থাকে নি। গণিতবিদ উইলিয়াম শ্যাঙ্কস দীর্ঘ ১৫ বছর শুধুমত্র পাই এর মান বের করার কাজে ব্যায় করেছিল। হাইরে পাই! π তুমি এতই সুন্দুর। তোমাকে নিয়ে এত গবেষণা এত সময় পার। পাই এর মান 3.1416… যদি ইংরেজি তারিখ হিসেবে গনণা করি তাহলে সেটি হবে ১৪ই মার্চ। সত্যি বলতে কি ১৪ই মার্চ হলো বিশ্ব পাই দিবস। স্বাধীনতা দিবসে তাই সকলের প্রতি রইল π দিবসের শুভেচ্ছা। π এর মত সুন্দুর হোক সবার জীবণ। এই শুভ কামনা সবার জন্য। আমিন।
ফিরোজ আহমেদ
সহকারী শিক্ষক (গণিত)
রামভদ্রপুর কে.আই আলিম মাদ্রাসা
ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলাদেশের প্রথম রাষ্টপতি ও ভারতীয় উপমহাদেশের একজন অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি বাঙালীর অধিকার রক্ষায় ব্রিটিশ ভারত থেকে ভারত বিভাজন আন্দোলন এবং পরবর্তিত পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত প্রদান করেন। প্রাচীন বাঙ্গালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের জাতির জনক বা জাতির পিতা বলা হয়ে থাকে। তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত, আওয়ামীলীগের সাভাপতি, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তিতে এ দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জনসাধারনের কাছে তিনি শেখ মুজিব এবং শেখ সাহেব হিসাবে বেশ পরিচিত। তার উপাধি হলো বঙ্গবন্ধু। তার কণ্যা শেখ হাসিনা বর্তমান সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।
১৭ই মার্চ ১৯২০ সালে ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবা শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতা সায়েরা খাতুন। চার কণ্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান। তাহার একমাত্র সঙ্গি হিসাবে তার পাশে এসে দাড়ান শেখ ফজিলাতুন্নেসা,শেখ হাসিনা,শেখ রেহানা,শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল।
শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন স্বাধীনতা কামী বাঙ্গালি জাতির আশা ভরাসা। একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে স্বাধীনতা আহব্বানের মধ্য দিয়ে লক্ষ বাঙ্গালির মিলিত কণ্ঠসুর স্বাধীনতার জন্য গর্জে ওঠে বাংলার দামাল ছেলেরা। ১৭৫৭ সালে তারা ব্রিটিশদের কাছে স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলে। পরবর্তি সময়ে ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগে এই দেশ পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হলে বিভক্ত পূর্ব বাংলা পরিচিতি পায় পূর্ব পাকিস্তান নামে। পাকিস্তানের ২৩ বছরের চাপিয়ে দেওয়া দুঃশাসনে বাঙ্গালিরা হারায় তাদের স্বাধীনতা। তখন পাকিস্তান বিরোধী সকল সংগ্রাম ,আন্দোলন জয় বাংলা শ্লোগানে জেগে উঠে সকল বাঙ্গালি।
১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ কালো রাতে এইদেশে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী নির্বিচারে বাঙালি জনগনের উপর হত্যাকান্ড চালাতে শুরু করলে-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেন। ৭ই মার্চের আহব্বানে লক্ষ লক্ষ বাঙালি মুক্তি যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। বজ্র কণ্ঠে তিনি বলেছিলেন “এবারে সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম”।
ব্যাক্তিগত বিবরনঃ
জন্মঃ ১৭ইমার্চ ১৯২০সালে ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবা শেখ লুৎফর রহমান , এবং মাতার নাম সায়েরা খাতুন। চার কন্যা দু পুত্রের তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান।
জাতীয়তাঃ বাংলাদেশ।
রাজনৈতিক দলঃ নিখিল ভারত মুসলিম লীগ (১৯৪৯ সালের পূর্বে )আওয়ামীলীগ(১৯৪৯ থকে ১৯৭৫)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঃ মৌলানা আজাদ কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ধর্মঃ ইসলাম।
দাম্পত্য জীবনঃ তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলতুন্নেসা।
সতেরো মার্চ উনিশ-শ বিশ জন্ম নিল টুঙ্গিপাড়ায়
বাঙালি জাতির পিতা; মা-জননী দুহাত বাড়ায়;
পিতার মুখে ফুটিলো হাশি, ফুটল কুষুম রাশি রাশি ,
পাখির ডানায় বাঁশের পাতায় সুরে সুরে বাজে বাশি;
দোয়েল শ্যামা লাফিয়ে চলে, ইলিশেরা সাঁতার কাটে,
বাঙালি আজ পাখপাখালি, জারি সারি হাটে মাঠে,
প্রমত্ত আজ গঙ্গা- মেঘনা, কর্ণফুলী ধায় যমুনায়,
মধুমতি ব্রহ্মপুত্র সব নদী যায় এক মোহনায়;
আকাশ জোড়া রোদের খেলা, হঠাৎ বৃষ্টি এক পসলা;
কৃষকরা সব ছুটছে মাঠে হাতে তাদের লাঙ্গল-ফলা,
জলে স্থলে গগনতলে নীল সবুজের গিরি চুড়ায়,
বঙ্গশিশুর বঙ্গপিতা দুচোখ মেলে অবাক তাকায়।
তুমিই শিশু তুমিই পিতা বঙ্গশিশুর বঙ্গপিতা;
অনন্তকাল বঙ্গভুমি, অনন্তকাল তুমিই পিতা;
মুক্তি পাগল বাঙালিরা পিতার বুকে মুখটি লুকায়-
মুখটি তোমার আকা আছে লালসবুজের সুখ পতাকায়।
আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা টুঙ্গীপাড়ায় যাই
আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা মুজিব বাড়ি যাই
সব বাঙালির একটি বাড়ি অন্য বাড়ি নাই।
স্বাধীনতা তুমি কতো বেদনার
কাজী মোঃ শাহে আলম (প্রভাষক আরবী)
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে ঢাকায় নিরীহ বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলপাকিস্তানি হানাদারবাহিনী ৷ চেয়েছিল বাঙালি জাতির স্বাধীনতার স্বপ্নকে চিরতরেস্তব্ধ করে দিতে৷ কিন্তু পারেনি ৷সেই রাতেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে বীর বাঙালি৷“‘অপারেশন সার্চলাইট”'নামে ২৫শেমার্চমধ্যরাতেশুরুহয়বাঙালি নিধন৷ ৯মাসের মুক্তি সংগ্রামে ৩০ লাখ শহিদ আর ২ লাখ মা-বোনেরসম্ভ্রমের বিনিময়েদেশ স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর৷বাঙালির প্রতিরোধ সংগ্রাম আর মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল পাকিস্তানিহানাদার বাহিনী,সঙ্গে তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস ৷ এইদোসরদের নেতৃত্ব দেয় চক্রান্ত কারী একটি স্বার্থান্নেষী জনগোষ্টি ৷ বাংলার মানুষ এদেরকে কখনোই ক্ষমা করেনি। আর ক্ষমা করার মত মানষিকতাও কারো ছিল না।কিন্তু কালের পরিক্রমায় এদের বিচার করা কখনোই সম্ভব হয়নি।যারা এত নির্যাতন করলো, অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জত কেড়ে নিলো , তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে না এটা বোধ হয় বিধাতাও চান নি। তাইতো তিনি স্বইচ্ছায় ক্ষমতার মসনদে আরোহন করান হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী শতাব্দীর সেরা পুরুষ অকুতোভয় বীর বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে আদর্শিত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহন কারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুন্নেসা মুজিবের কলিজার টুকরা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। অনেক চড়াই উত্রাই পেরিয়ে বলিষ্ট হাতে তিনি স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার কাজ শুরু করেন।এখনপাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে স্বাধীন বাংলাদেশে৷ অনেকের বিচারের রায় কার্যকরও হয়েছে বাংলার মাটিতে। কিছুটা হলেও শান্তি পাচ্ছে দেশ মাতৃকার জন্য জীবন দান করা সাহাদাত বরন কারী আত্বা গুলো।
বাংলার ত্যাগ শরফুদ্দিন শিকদার, দশম শ্রেণি, রোল নং-০৬
দিনটি ছিল বৃষ্টির দিন। পলকহীন দৃষ্টি দিয়ে জানালার বাইরে চেয়ে আছেন। বাইরে বৃষ্টি হছে অনবরত। গ্রামটি ছিল পদ্মা নদীর পাড়ে। গ্রামের সকল মানুষ ছিল সহজ সরল। সকলেই খেটে খায়া মানুষ।
৭ই মার্চ বাবা বাজার থেকে এসে বলল আমাগো দেশে এতো অত্যাচার করতাছে পাকিস্তানি হিংস্র দানবরা। আমার সহ্য হইতাছেনা।
মাঃ আছা এদের বিরুদ্ধে কেউ কি রুখে দাঁড়ায় না?
আব্বাঃ হয়! আজকেই তো রেডুওতে হুনলাম, এক নেতা নাম শেখ মুজিবুর রহমান। হেয় কয়ছে আমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে যুদ্ধে নামতে। নেকড়েদের বিরুদ্ধে।
কয়েকদিন গেল ২৫ই মার্চ, মায় আর আমি দরজায় বয়য়া আছি, আব্বাই বাজারে গেছে এহনো আহে নাই। রাইত আর শেষ হয় না। সকালে মা আর আমি কালুগো বাড়িতে গেলাম।
মাঃ কালু ও কালু
কালুঃ কী কাকি?
মাঃ ওর আব্বাই কাইল বাজারে গেল এহনো আই নাই।
কালুঃ কালি পাকিস্তানি জানোয়ারেরা হঠাৎ বাজার আক্রমণ করে আমরা ডরে বাড়ি আইয়া পড়ছি। কাকাই কই জানি না।
মায় আর আমি বাজারে গেলাম। বাজারে দেহি অনেক মানুষের ভিড়। মা আমারে কইল দেখ দেহি কি ঐ হানে। আমি গিয়া দেহি বাবার লাশ, চিৎকার দিয়া মাইরে ডাকলাম মা মাগো! মা দেইখা বেহুশ হইয়া গেল। এই অবস্থায় কি করুম হেই জ্ঞান আমার জন্মায় নাই,শুধু জন্মায়তেছে কখন ওই জানোয়ারদের রক্ত এই দেশের মাটিতে ফেলুম।
আমাদের নেতার আহব্বানে সাড়া দিতে আমি কালু সহ ৩০ জন মিল্লা যুদ্ধে যামু। কালু কইল এই মাটি লগে স্বার্থপরী করতে পারুম না; জীবন পাইছি এই মাটিতে, এই মাটিতে জীবন দিমু। এই দেশ আমরা রক্ষা করুম। যুদ্ধে যাওয়ার সময় মাকে বললান, “মা যুদ্ধে যাচ্ছি দোয়া কইরো। যেন দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে পারি।
২৫ ই ডিসম্বর, সারাদিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। মা জানালার দিকে তাকিয়ে ভাবসে দেশ কবে স্বাধীন হবে, খোকা কবে ফিরবে। হঠাৎ কে যেন ডাক দিল কাকি! কাকি!
মাঃ কিরে কালু, আমার খোকায় কই।
কালুঃ খোকা তো…………।
মাঃ খোকা, খোখা, ক্যান কি হয়ছে।
কালুঃ অয় শহীদ হয়ছে।
মাঃ মিথ্যা কথা কছ না, কি হয়ছে খুইলা ক।
কালুঃ কাকি কাইনদেন না, অর মতো ছেলেদের বুকের তাজা রক্ত দিয়াইত পতাকার মধ্যে লাল সবুজ আঁকা হইছে।
মঃ বেশি কথা কইছনা অয় আইব, অয় আইব, অয় বিজয়ের পতাকা লইয়া আইব,অয় শীতের পিঠা খাইতে আইব, তুই তোর কাজ কর গা।
মা ঘরে গিয়া শূন্য জানালার দিকে চেয়ে রইল। মা বলল তুই আসবি আমি জানি। শীতের পিঠা খাইতে আইবি। বাইরে বৃষ্টির পানির মত চোখের জল ঝরে বিরামহিন। হয়ত ওর ঘরের উনুনে আগুন জ্বলবে না ঘরের চাল তরকারি পোকায় খাবে। মা শুধু অপেক্ষায় রইবে।
আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তি যুদ্ধ
আবুল কালাম (উপাধ্যক্ষ)
মুক্তিযুদ্ব মানেই মুক্তিরযুদ্ব,স্বাধীনতার জন্য যুদ্ব। মুক্তিযোদ্বা মানে দেশকে মুক্ত করার জন্য যোদ্বা। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাত ১২ ০১ মিনিটে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে প্রথমাক্রমন এবং পিলখানায় বি ডি আর দের মধ্যে যারা বাঙ্গালী সেনাবাহিনী ছিল তাদেরকে হত্যা করার মাধ্যমেই শুরু হলো স্বাধীনতার যুদ্ব।তখন সকল প্রসাসনিক ক্ষমতা ও অস্র, গোলা বারুদ সবই ছিল পাকিস্তানীদের নিয়ন্ত্রনে।এই নিরস্ত্র বাঙ্গালীদের উপর বর্বরোচিত আক্রমন করে অসংখ্য অসহায় নিরিহ বাঙ্গালীর জীবনকে কেড়ে নিল। তার সাথে লুণ্ঠন করে নিল লক্ষ লক্ষ মা বোনের ইজ্জত।
যখন এই দৃশ্য দেকলো বাংলার মুক্তিকামী দামাল ছেলেরা , তখনই ভেসে উঠে বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ট সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্দ্বু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের এতিহাসিক ভাষনের কথা।তোমাদের যার যা কিছু আছে তা নিয়েই ঝাপিয়ে পড়বে আমি হয়তো আদেস দেবার সময় সুযোগ নাও পেতে পাড়ি। তোমরা আমার ভাই , রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আর দেব ,এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনসাআল্লাহ। তার এই যাদুকরী ভাষনের টানে আর ঘরে বসে থাকতে পারে নাই স্বাধীনচেতা বীর পুরুষেরা। তারা যখন দেখলো বাংলার সাধারন মানুষ, হাট বাজার, গ্রাম গঞ্জ,পুড়িয়ে দিয়েছে,আর ঘরে বসে থাকা মা বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে,তখন তারা রাতের আধারে মায়ের স্নেহ, বাবার মায়ামমতা, ভাই বোনের ভালোবাসা, জীবনের মায়া,স্ত্রীর কান্না, সন্তানের আহাজারী,পল্লীর মমতা সব আশা আকাঙ্ক্ষা ধুলায় মিশিয়ে বাংলা মায়ের করুন আর্তনাদ সুনে পালিয়ে গিয়ে মুক্তিযোদ্বার তালিকায় নাম লিখালেন।এবং যুদ্বের ময়দানে ঝাপিয়ে পড়লেন। সে সময় ছিলনা কোন ভাত্র আশির্বাদ, ছিলনা কোন কোটার সুযোগ,ছিলনা সুযোগ সুবিধার হাতছানি, ছিলনা কোন গার্ড অফ অনারের। ছিল শুধু নিপিড়ন নির্যাতন, অনাহার অর্ধাহার এবং অনিদ্রায় রাত দিন যাপন।ছিল মৃত্যুর আহাজারী, রক্তের বন্যা,লাসের মিছিল, লেলিহান আগুনের পোড়া গন্ধ।তা দেখেও ফিরে আসেনি বীর বাঙ্গালী বীর সেনানিরা।
তাদের একটি আশাই ছিল আমরা মরে যাব, দেশটাকে পাকিস্তানীদের হাত থেকে রক্ষা করবো।তাদের কারো মনেই এ আশা ছিলনা কেউ ঘরে ফিরে বাবার সামনে দাঁড়িয়ে বাবা বলে ডাকবে, মা তাকে পরম স্নেহে কোলে তুলে নিবে,ভাই বোন আন্তীয় স্বজন্দের সামনে হাসি মুখে পথ চলবে, স্ত্রী ও সন্তানের মুখে হাসি ফুটাবে। শুধু একটাই আশা ছিল বাঙ্গালী জাতি স্বাধীন ভাবে তাদের জীবঙ্কাটাবে, স্বাধীনতা নিয়ে তারা বেচে থাকবে।
কিন্তু সেই ২৬শে মার্চ থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্বের মাধ্যমে ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জিত হলো। সেই অর্জনের পরিপ্রেক্ষিতে সেই হ্যামিলনের বাশিওয়ালা এবং তার ডাকে পাগলপাড়া বীর মুক্তিযোদ্বারাই বা কি পেলেন? এটাই জাতীর কাছে প্রশ্ন? উত্তরে আমি বলবো পেয়েছেন ১৯৭৫ইং সালের ১৫ই আগস্ট যা ইতিহাসের পাতায় একটি কালো রাত্র। যেই রাত্রে নিজ গৃহে পৌষ্য গৃহপালিত মানবাকৃতির এক প্রকার হায়ানাদের হিংস্র থাবা থেকে বেচে থাকতে পারে নাই পরিবারের সর্ব কনিষ্ট শিশু রাসেলও।
শহীদ মুক্তিযোদ্বারা পেলেন শহীদ মিনারে একটু ফুল দিয়ে শ্রদ্বা নিবেদন। আর সন্তান হারা,পিতা হারা পরিবার পেলনা কিছুই।আহত পঙ্গু ও বেচে থাকা পরিবার গুলো পেল অসহায় ব্যাদনা দায়ক অসহ্যকর যন্ত্রনা ও গ্লানি।
ভাগ্যিস লেখা পড়ার নিমিত্তে বেচে রইলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা,আল্লাহর অশেস কৃপায় বেচে থাকা শেখ হাসিনা আশির দশকে দেশে ফিরে আশার মাধযমে তিলে তিলে বাবার সৃতি চারন করে বাবার স্বপ্ন বাংলার মাটিতে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে সহস্র বাধা বিপত্তির মধ্য দিয়ে অনেক চড়াই উতরাই পেড়িয়ে তিনি এখন দেশরত্ন হিসাবে আক্ষ্যায়িত হয়েছেন।তারই নেতৃত্বে বাঙ্গাদেশের মুক্তিযোদ্বার পেলেন ভাতা বা সন্মানের অধিকার। পেলেন চাকুরীতে কোটার অধিকার, পেলেন পারিবারিক অধিকার, আরো অনেক কিছু। যা দেখে আজ অনেকেরই মুক্তিযোদ্বা হতে স্বাদ জাগে। আমি বলবো যা দিয়েছেন এবং যা পেয়েছেন তাতেই শেষ হয়ে যায়নি তাদের ত্যাগের প্রতিদান।
মুক্তি যুদ্বের সংগ্রাম (
বাঙ্গালী অবিসংবাদিক নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালে ৩রা মার্চ ঢাকায় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন ডেকে ছিলেন। কিন্তু তিনি কোন কারন ছাড়াই হঠাত ১লা মার্চ এক ঘোষনায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষনা করেন। এই ষড়যন্ত্রমূলক ঘোষনা শুনেই পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের ঝর উঠে। সবাই তখন একই সুরে বলে জয় বাংলা, বীর বাঙ্গালী অস্র ধর বাংলাদেশ স্বাধীন করো। জাগো জাগো বাঙ্গালী। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষ লোকের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঐতিহাসিক ভাষন দেন। ১৮ মিনিটের ঐ ভাষনে তিনি বাঙ্গালীর মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত স্বাধীনতা সংগ্রামের আহব্বান জানান। তিনি বলে ছিলেন আপনারা জানেন এবং বুজেন আমরা জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় ঢাকা চট্রগ্রাম রাজশাহী রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাচতে চায়, বাংলার মানুষ অধিকার চায়।কি অন্যায় করেছিলাম। আজ দুঃখের সাথে বলতে চাই ২৩ বছরের করুন ইতিহাস, বাংলার অত্যাচারের ইতিহাস, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। ১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি, ১৯৫৪সালে নির্বাচনে জয়লাভ করেও ক্ষমতায় বসতে পারি নাই। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলনে ৭ই জুন আমাদের ছেলেদের হত্যা করা হয়েছে। যদি এদেশের মানুষকে খতম করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে তোমাদের যার যা কিছু আছে তানিয়েই প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবে রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দিব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনসাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধুর এই ডাকে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ব করে ১৬ই ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করি। যুদ্বে যারা শহীদ হন এদের মধ্যে ৭জনকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভুষিত করা হয়।
বঙ্গবন্ধু তুমি_কাজী মোঃ আব্দুল কাদির (প্রাক্তন ছাত্র)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,তুমি এ বাঙ্গালী জাতির পিতা,
আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে তোমার গুনেরকথা লেখার নেই কোন ক্ষমতা।
তোমার নিয়ে যুগযুগ ধরেলিখবে কত কবি তাদের কবিতা,
তুমি যে সংগ্রাম করে এনেছোবাঙালি জাতির স্বপ্নের স্বাধীনতা।
৭মার্চে রেসকোর্স ময়দানেতুমি দিয়েছিলে অগ্নিঝরা ভাষন,
সাড়ে সাতকোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধকরে ভেঙে দিয়েছিলে সেই দুঃশাসন।
ক্ষুধা, নিপীড়ন, নির্যাতন, শোষণেরবিরুদ্ধে সহ্য করেছিলে কত ব্যাথা,
গোটা জাতির সামনে একটাই ছিল পথ,আর প্রণের দাবী, শুধুই স্বাধীনতা।
তাই বাঙালি জাতি হলো ক্ষুদ্ব,আর তখনি শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ,
মুক্তিকামি বাঙালিকে পারল নাদাবাতে, পারল না করতে গৃহে আবদ্ব।
লাখো শহীদের রক্তেরাঙা ভূখণ্ডেসৃষ্টি হলো অসংখ্য বীরের অমরগাঁথা কীর্তি,
পৃথিবীর মানচিত্রে আঁকা হলো নতুনএকটি সীমানা, পেলাম স্বাধীনতা।
আর সেই মহান স্বাধীনতার স্থপতির নাম, বঙ্গ বন্ধু শেখ মজিবুর রহমান।