RAMBHADRAPUR KAZI ISMAILIYA ALIM MADRASAH
VEDERGANJ,SHARIATPUR. EIIN : 113524
সাম্প্রতিক খবর
দাখিল নির্বাচনী পরীক্ষা-২০২৩ এ অংশ গ্রহন উপলক্ষে *** মাদ্রাসার ওয়েব সাইট উন্নায়ন সংক্রান্ত ট্রেইনিং *** *** All over the country millions of Muslims celebrate Eid al- Adha. *** যথাযোগ্য মর্যদা ও ভাব গাম্ভীর্যের সাথে সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত। *** ২,৭১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী-জননেত্রী শেখ হাসিনা। *** নাম "শেখ হাসিনা সেতু" নয়,পদ্মা সেতু, আগামি ২৫শে জুন উদ্ধোধন করবেন প্রধান্মন্ত্রী শেখ হাসিনা। *** পদ্মা সেতু কারো দানে নয়, দাম দিয়ে কেনা। প্রমত্তা পদ্মার বুকে নির্মিত হওয়া এ পদ্মা সেতু দাঁড়িয়ে আছে এ দেশের মানুষের সাহসের প্রতীক হয়ে। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল বিশ্বব্যাংক, অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছিল পদ্মা সেতু। কিন্তু থেমে থাকেনি কর্মযজ্ঞ। এ দেশের মানুষের শ্রমের টাকায় নির্মিত হয়েছে বহুমুখী এ সেতু, হাত পাততে হয়নি কারো কাছে। নির্মিত সেতুর প্রতিটি বালুকণায় লেগে আছে বাঙালির কষ্টার্জিত অর্থ। এ কেবল নিছক এক সেতু নয়, মাথা না নোয়াবার এক মূর্তিমান প্রতীক পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু কারো দানে নয়, দাম দিয়ে কেনা। ***
২০২৪ ইং সালের আলিম পরীক্ষার্থীদের মত বিনিময় সভা
৬ষ্ঠ-শ্রেণীর রেজিষ্ট্রেষনের সময় বৃদ্বি প্রসঙ্গে।
মহান বিজয় দিবস উদযাপন ও বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনা প্রসঙ্গে।
বাৎসরিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের নোটিশ
প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে মাদ্রাসা বন্ধের নোটিশ
দাখিল পাবলিক পরীক্ষা-২০২৪ এ অংশ গ্রহন করার জন্য ফরম পূরন প্রসঙ্গে।
দাখিল-নির্বাচনী পরীক্ষা-২০২৩ এ অংশগ্রহন প্রসঙ্গে
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) পালন উপলক্ষে।
আখেরি চাহার সোম্ভা উপলক্ষে মাদ্রাসা বন্ধ রাখা প্রসঙ্গে।
জন্মাষ্টমীর বন্ধ উপলক্ষে
জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে
জালানী ও বিদ্যুত সাশ্রয়ের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা প্রসংগে।
১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কবিতা, রচনা, ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন প্রসঙ্গে।
ঈদুল আযহার ছুটিতে শিক্ষার্থীর করনীয়। সবাইকে পবিত্র ঈদুল আযহার অগ্রিম শুভেচ্ছা ঈদ মোবারাক।
ছাত্র-ছাত্রীর উদ্দেশ্যে, অবিভাবকদের প্রতি সবিনয় অনুরোধ।
২০২৪ ইং সালের দাখিল পাবলিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করার জন্য রেজিষ্ট্রেষন করা প্রসঙ্গে।
গ্রীষ্মকালীন অবকাশ ও পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ছুটির নোটিশ।

বঙ্গবন্ধু কর্ণার                                                                                                                    

শেখ মুজিবুর রহমান

শেখ মুজিবুর রহমান (১৭ই মার্চ ১৯২০ – ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫), সংক্ষিপ্তাকারে শেখ মুজিব বা বঙ্গবন্ধু, ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ভারত বিভাজন আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কেন্দ্রীয়ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন। শুরুতে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি, এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন অর্জনের প্রয়াস এবং পরবর্তীকালে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে বাংলাদেশের “জাতির জনক” বা “জাতির পিতা” হিসেবে অভিহিত করা হয়। এছাড়াও তাকে প্রাচীন বাঙালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জনসাধারণের কাছে তিনি “শেখ মুজিব” বা “শেখ সাহেব” নামে এবং তার উপাধি “বঙ্গবন্ধু” হিসেবেই অধিক পরিচিত। তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।

১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারত বিভাগ পরবর্তী পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতির প্রাথমিক পর্যায়ে শেখ মুজিব ছিলেন তরুণ ছাত্রনেতা। পরবর্তীকালে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। সমাজতন্ত্রের পক্ষসমর্থনকারী একজন অধিবক্তা হিসেবে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগোষ্ঠীর প্রতি সকল ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। জনগণের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছয় দফা স্বায়ত্তশাসন পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন, যাকে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী পরিকল্পনা হিসেবে ঘোষণা করেছিল। ছয় দফা দাবির মধ্যে প্রধান দাবি ছিল প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন, যার কারণে তিনি আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের অন্যতম বিরোধী পক্ষে পরিণত হন। ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে ভারত সরকারের সাথে যোগসাজশ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাকে প্রধান আসামি করে আগরতলা মামলা দায়ের করা হয়; তবে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের কারণে তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করা সত্ত্বেও তাকে সরকার গঠনের সুযোগ দেয়া হয়নি।

পাকিস্তানের নতুন সরকার গঠন বিষয়ে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ জুলফিকার আলী ভুট্টোর সাথে শেখ মুজিবের আলোচনা বিফলে যাওয়ার পর ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঢাকা শহরে গণহত্যা চালায়। ফলশ্রুতিতে, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। একই রাতে তাকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। ব্রিগেডিয়ার রহিমুদ্দিন খানের সামরিক আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করলেও তা কার্যকর করা হয়নি। নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করার মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে “বাংলাদেশ” নামক স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই জানুয়ারি শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই জানুয়ারি তিনি সংসদীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মতাদর্শগতভাবে তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী ছিলেন; যা সম্মিলিতভাবে মুজিববাদ নামে পরিচিত। এগুলোর উপর ভিত্তি করে সংবিধান প্রণয়ন এবং তদানুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার চেষ্টা সত্ত্বেও তীব্র দারিদ্র্য, বেকারত্ব, সর্বত্র অরাজকতাসহ ব্যাপক দুর্নীতি মোকাবেলায় তিনি কঠিন সময় অতিবাহিত করেন। ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতা দমনের লক্ষ্যে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি একদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে বাধ্য হন। এর সাত মাস পরে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই আগস্ট একদল সামরিক কর্মকর্তার হাতে তিনি সপরিবারে নিহত হন। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে বিবিসি কর্তৃক পরিচালিত জনমত জরিপে শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে নির্বাচিত হন। 

 

মুজিববর্ষ

 

 

 

    মুজিববর্ষের লোগো

আনুষ্ঠানিক নাম: মুজিববর্ষ

পালনকারী    :   বাংলাদেশ

 

ধরন            : জাতীয়

তাৎপর্য    : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন

শুরু            : ১৭ মার্চ ২০২০

সমাপ্তি    : ৩১ মার্চ ২০২২

সংঘটন    : ২০২০-২০২১

সম্পর্কিত    : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

 

মুজিববর্ষ হলো বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের জন্য ঘোষিত বর্ষ। বাংলাদেশ সরকার ২০২০-২১ সালকে (১৭ই মার্চ ২০২০ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত) মুজিববর্ষ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়।বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অবিভক্ত ভারতের পূর্ববঙ্গের ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার (বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলা) টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ তাঁর জন্মের ১০০ বছর পূর্তি হয়। তাই তাঁর এই জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্যই 'মুজিববর্ষ' পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও ২০২১ সালের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীনতার অর্ধ-শত বার্ষিকীতে পদার্পণ করে। তাই ২০২০ ও ২০২১ সাল দুটি বাঙালির জাতীয় জীবনের দুটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে থাকছে।

ঘোষণা ও প্রস্ততি

 

মুজিববর্ষের লোগো উন্মোচন ও আনুষ্ঠানিক সময় গণনা শুরু

২০১৮ সালের ৬ জুলাই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যৌথ সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা ২০২০-২১ সালকে 'মুজিববর্ষ' হিসেবে পালনের ঘোষণা দেন। প্রথম ঘোষণা অনুযায়ী, 'মুজিববর্ষ' ২০২০ সালের ১৭ই মার্চে শুরু হয়ে ২০২১ সালের ২৬ই মার্চ পর্যন্ত পালন করার পরিকল্পনা ছিল। তবে পরবর্তীতে এর সময় ২০২১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। পরে সরকার পুনরায় মুজিব বর্ষের সময়কাল ও ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় কমিটি’ ও ‘জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’র মেয়াদ ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করে।

মুজিববর্ষের লোগো উন্মোচন ও আনুষ্ঠানিক সময় গণনা শুরু হয় ২০২০ সালের ১০ই জানুয়ারি, 'বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে'। মুজিববর্ষের লোগোর নকশা করেন সব্যসাচী হাজরা।

মুজিববর্ষের আবহ সঙ্গীত

"তুমি বাংলার ধ্রুবতারা, তুমি হৃদয়ের বাতিঘর আকাশে-বাতাসে বজ্রকন্ঠ, তোমার কন্ঠস্বর।"

বৈশ্বিক উদ্‌যাপন

 

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতীয় ডাক বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত ডাকটিকিট।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক অঙ্গসংগঠন ইউনেস্কোর ৪০তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে মুজিববর্ষ পালনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২০১৯ সালের ১২-২৭ নভেম্বরে প্যারিসে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে ২৫ নভেম্বরে ইউনেস্কোর সকল সদস্যের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সময় বৃদ্ধি

করোনাভাইরাসের কারণে গ্রহণ করা কর্মসূচিগুলো নির্ধারিত সময়ে যথাযথভাবে করতে না পারায় মুজিববর্ষের মেয়াদ প্রায় ৯ মাস বাড়ানো হয়। এ সময়কাল ২০২১ সালের ২৬ মার্চ থেকে বাড়িয়ে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এ তথ্য দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে প্রজ্ঞাপনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, "স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ সময়কে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু মুজিববর্ষ উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচিগুলো কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির কারণে নির্ধারিত সময়ে যথযাথভাবে করা সম্ভব হয়নি। সে কারণে মুজিববর্ষের সময়কাল ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত ঘোষণা করা হল।" উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ই মার্চ দেশে করোনা মহামারি দেখা দিলে ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত টানা ৬৬ দিন দেশে সাধারণ ছুটি পালিত হয়। যে কারণে এই সময়ের মধ্যে মুজিববর্ষের জন্য গৃহীত নানা কর্মসূচি পালন করা যায়নি। ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার এবং জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি জনস্বার্থে ও জনকল্যাণে ১৭ মার্চের পূর্ব ঘোষিত অনুষ্ঠান ছোট পরিসরে করার ঘোষণা দেয়। একইসাথে আমন্ত্রিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সফরও বাতিল করা হয়।

মুজিববর্ষের আয়োজন

 

'মুজিব চিরন্তন' অনুষ্ঠান

করোনা মহামারির কারণে সঠিক সময়ে অর্থাৎ ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ হতে ২০২১ সাল পর্যন্ত মুজিববর্ষ উদযাপনের কোনো আয়োজন সুসম্পন্ন করা না গেলেও, ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে শুরু করে এ উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী নানা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে করা এই আয়োজনগুলোর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো:-

'মুজিব চিরন্তন' নামে ১০ দিন ব্যাপী জাতীয় অনুষ্ঠান মালা আয়োজন

মুজিববর্ষের বিশেষ ওয়েবসাইট চালু

মুজিববর্ষের স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ

১০০ দিনব্যাপী কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন

রাষ্ট্রায়ত্ব মোবাইল অপারেটর টেলিটকের শতবর্ষ নামে বিশেষ মোবাইল প্যাকেজ বিনামূল্যে প্রদান

মুজিববর্ষে দেশীয় যোগাযোগ অ্যাপ আলাপ চালু.